বর্তমান বিশ্বে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট; এছাড়া প্রযুক্তির সমস্ত পাওয়ার হাউস যা আমাদের যোগাযোগের, চিন্তা করা, অনুভব করা, এমনকি চলাফেরা করার পদ্ধতিকে চিরতরে পরিবর্তন এনে দিয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ার প্রধান কাজ হল সংযোগ তৈরি করা । বিগত বছর গুলোয় আমরা যাদের সাথে যোগাযোগ হারিয়েছি বা দূরত্বের জন্য যোগাযোগ রাখতে পারি নাই আজ এগুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই তা হয়ে যাচ্ছে।
প্রিয়জন বা ব্যবসায়িক বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করা এত সহজ ছিল না, এখন শুধু একটি চাপের মাধ্যমে, সারা বিশ্বে খবর চলে যাচ্ছে ।
সাধারণভাবে, এটি যে কোনো কারণেই দূরে থাকা লোকেদের জন্য একটি ভাল মাধ্যম , আমি মনে করি সোশ্যাল মিডিয়া মানুষের জীবনে আশীর্বাদস্বরূপ এবং যারা এটির আসল উদ্দেশ্যের জন্য সঠিকভাবে ব্যবহার করে তাদের জন্য এক বুক ভালোবাসা।
কিন্তু প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্মাতারা বাণিজ্যিক এবং বিজ্ঞাপন লাভের জন্য সেই প্রয়োজনকে কলুষিত করেছেন।
একটি বিষয় যে সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের সমাজে এতটাই গেঁথে গেছে যে যখন আমরা তথ্য সংগ্রহ এর মত শব্দ শুনেছি এবং এর অর্থ কী তা অস্পষ্টভাবে জানি, আমরা এটি চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিই কারণ আমরা খুব নির্ভরশীল এবং আক্ষরিক অর্থেই এর প্রতি আসক্ত। আমি বলি” আক্ষরিক অর্থে কারণ ফেসবুক এর বিশেষ অ্যালগরিদম রয়েছে যেটি আপনি অনুসন্ধান করেন তা সনাক্ত করে। আপনি যা কিছু করেন সেই তথ্য ফেসবুক পেয়ে থাকে। এটি আপনার পছন্দের বিষয়গুলিকে চিহ্নিত করে সেগুলিকে আপনার সামনে দেখার জন্য সেট করে দেয়।
শুধু ফেসবুক নয় এরকম আরো অনেক কোম্পানি করে থাকে। আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি যে আপনি যদি আপনার ফোনে ফেসবুক ব্যবহার করেন তাহলে এটি আপনার গুগল এর অনুসন্ধানের ইতিহাস এবং আপনার ‘ব্যক্তিগত’ Whatsapp এর কথোপকথনগুলিকে ব্যবহার করে কীওয়ার্ড বাছাই করে কীভাবে আপনাকে বিজ্ঞাপন দিতে হবে তা লক্ষ্য করে ডেটা মাইন করে। আমাজন, আপনার কথোপকথন শুনতে এবং বিজ্ঞাপনের জন্য কীওয়ার্ড বাছাই করতে আপনার ফোনের মাইক্রোফোন ব্যবহার করে থাকে । এই কাজটি খারাপ হলেও : আমরা সবাই এটি সম্পর্কে জানি।
আমরা সবাই নিজে নিজে হয়তো এটা বুঝতে পেরেছি যে মোবাইল এর সামনে কাপড় এর কথা বললে ফেসবুক আমাদের কিছু সময়ের মধ্যেই সেই প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন দেখায়। এ সবই পাশাপাশি সংযুক্ত: Instagram, Whatsapp , Snapchat কোনো না কোনোভাবে Facebook ছাতার নিচে পড়ে। তাহলে এটা কেন হতে দেওয়া হলো? আমরা কি এটার অনুমতি দিছি ?
এর উত্তর হল যে ফেসবুকের নির্মাতারা জানেন যে আমরা যদি আমাদের বন্ধু এবং আত্মীয়দের সাথে যোগাযোগ রাখতে চাই তাহলে ফেসবুকের বিকল্প আপাতত তেমন কিছু নেই ।
এখানে আমি বেশিরভাগ খবর দেখি: বিশ্বে যে ঘটনাগুলি ঘটে থাকে সেটি টেলিভিশনের চেয়ে দ্রুত সেখানে উপস্থিত হয়।
This article kept my attention from start to
finish! The site’s design makes it a joy to
explore.